আপনি কি নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে আবেদন করতে হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
![]() |
নতুন জন্মনিবন্ধন আবেদন |
আমাদের আজকের লেখার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে আমি নতুন জন্ম নিবন্ধন কিভাবে আবেদন করতে হয় আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য শেয়ার করব।
নতুন জন্মনিবন্ধন আবেদন
নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য যদি আপনি আবেদন করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি সবার প্রথমে করতে হবে আপনাকে একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে ভিজিট করতে হবে সেই ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক হল - https://bdris.gov.bd/br/application এই ওয়েবসাইটের মধ্যে সবার প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে তারপরে আপনার নিচের স্ক্রীনশটএর মত দেখতে পারবেন।
আপনারা মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে কাজটি করতে পারেন। আর এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার আগে অবশ্যই আপনাদের ডাটা কানেকশন আছে ওয়াইফাই ওপেন করে নিতে হবে। তারপরে যে কোন ব্রাউজার এ গিয়ে এই লিঙ্কে প্রবেশ করবেন এরপর আপনারা নিচের স্ক্রীনশটএর মত দেখতে পারবেন।
![]() |
নতুন জন্মনিবন্ধন আবেদন |
উপরের স্ক্রিনশটটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে , নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য আপনারা কোন ঠিকানা তে আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করার জন্য বলতেছে, আপনি এখান থেকে আপনার প্রয়োজন মত আপনার যেটা দরকার জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা, কিংবা আপনি বর্তমান ঠিকানা দিয়েও জন্ম নিবন্ধনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
আবার আপনি যদি বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন এর জন্য এপ্লাই করতে চান সেটাও করতে পারবেন সেটা যদি করতে চান তাহলে নিচের অংশটা দেখতে পাচ্ছেন টিকমার্ক দেওয়ার অপশন রয়েছে সেখানে আপনাকে একটা টিক মার্ক দিতে হবে। এরপরে নিচের অপশন গুলোর মত দেখতে পারবেন। নিচে একটা স্ক্রিনশট দিয়েছি ভালোভাবে লক্ষ্য করনি সেটা আপনি যদি দূতাবাসের আন্ডারে এপ্লাই করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে কিভাবে আপনাদের সামনে শো করবে সেটা আমি স্ক্রিনশট দিয়েছি খেয়াল করুন।
![]() |
নতুন জন্মনিবন্ধন আবেদন |
উপরে স্ক্রিনশটে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে দেশ সিটি এবং অফিস দেওয়ার জন্য অপশন রয়েছে এখান থেকে আপনারা এগুলো সিলেক্ট করে দিবেন।
আর আপনি এখান থেকে যে অপশনটি আপনার দরকার সেটি সিলেক্ট করে নেক্সট বাটনে ক্লিক করবেন, নেক্সট অপসন এ ক্লিক করে আপনার নিচের স্ক্রীনশটএর মত দেখতে পারবেন। পরবর্তী নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন আমি মার্ক করে দিয়েছি উপরে স্ক্রিনশটে খেয়াল করলে দেখতে পারবেন এখান থেকে আপনাকে পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে তারপরে নিচের স্ক্রীনশটএর মত একটি ফ্রম পেয়ে যাবেন এই ফর্মটা ফিলাপ করতে হবে।
উপরের স্ক্রিনশটটা ফর্মটির মধ্যে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার জন্য যে সকল তথ্য গুলো আপনাদের দিতে হবে সেগুলো দেওয়ার জন্য বলতেছে এখান থেকে আপনারা আপনাদের তথ্য গুলো সঠিকভাবে পূরণ করে দিবেন। উপরের ফরমটি ফিলাপ করার পরে আপনারা সবার নিচে পরবর্তী নামে একটি অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন।
Read More - জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
পরবর্তী ওখানে ক্লিক করার পরে আপনারা দেখতে পারবেন যে নতুন একটি ফ্রম এসেছে সেটাকে আপনাকে ফিলাপ করতে হবে সেখানে লেখা দেখতে পারবেন, আবেদনকারী ব্যক্তি আপনার কি হয় যদি আপনার মা অথবা বাবা কিংবা আপনি নিজে হন তাহলে সেটা সিলেক্ট করার অপশন পাবেন এই অপশনটা আপনারা সিলেক্ট করে দিবেন প্রথমে তারপরে আপনি আপনার একটি মোবাইল ফোন নাম্বারটি দিবেন যেটি সব সময় খোলা থাকে তারপরে আপনার একটি ইমেইল এড্রেস বসিয়ে দিবেন।
মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল আইডি দেওয়ার পর আপনারা নিচে দেখতে পারবেন আপনি কার জন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চাচ্ছেন পিতা-মাতা অথবা আপনার নিজের জন্য যদি না হয় তাহলে অন্যান্য হলে আপনি কার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন তার সত্যায়িত কপি একটা ডকুমেন্ট এখানে আপলোড করার জন্য বলবে সত্যতা যাচাই করার জন্য। আর তথ্যগুলো আপনারা এখান থেকে আপলোড করে দিতে পারবেন। আর এখানে আপনারা সর্বোচ্চ হলে 100 কিলোবাইটের একটি ফাইল আপলোড করতে পারবেন।
আপনি যদি তার বেশি সাইজের ফাইল আপলোড করেন তাহলে কিন্তু সেটা আপলোড হবে না এই বিষয়টা মাথায় রাখবেন। বাড়ির দলিল ও আপনাকে এখানে আপলোড করতে হবে অর্থাৎ আপনি যার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন যদি আপনার পিতা মাতা অথবা আপনি নিজে না হন তাহলে আপনারা এখান থেকে সেই অপশনটি সিলেক্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন, সেই অপশনটি নিচে থেকে সিলেক্ট করে তারপরে আপনি সেই ফাইলটি আপলোড করে দিলেই হবে।
Read More - অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই
তারপর আপনি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করলে প্রিভিউ দেখতে পারবেন অর্থাৎ আপনি যে আবেদন করার জন্য যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেগুলো সেগুলো আরো একবার এখান থেকে চেক করে নিতে পারবেন। আর আপনার তথ্যগুলো দেওয়া সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনারা নিশ্চয় সাবমিট বাটন দেখতে পাবেন সেই সাবমিট লেখাটির উপরে আপনাদেরকে ক্লিক করতে হবে। সাবমিট লেখাটির উপরে ক্লিক করলে আপনারা পরবর্তী ধাপে দেখতে পারবেন যে আপনি যে নতুন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করেছেন সেই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন হয়েছে এবং সাবমিট করা হয়ে গিয়েছে।
তারপরে আপনারা নিচে লেখা দেখতে পারবেন যে নিচের প্রিন্ট বাটন এ ক্লিক করে আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে দরকারি কাগজপত্র সহ আগামী 15 দিনের ভেতরে অর্থাৎ আপনি যেদিন আবেদন করবেন তারপর এর 15 দিনের মধ্যে আপনাকে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন এর কার্যালয় দাখিল করতে বলতেছি। আর তাই আপনারা এখান থেকে আপনার আবেদন ফরমটি প্রিন্ট করে নিবেন। আবেদন প্রিন্ট করুন অপশনে ক্লিক করলেই আপনাদের সামনে একটি আবেদন ফরম চলে আসবে আপনি যে তথ্যগুলো দিয়ে আবেদন করেছেন সেগুলো দেখতে পারবেন আর তারপরে আপনি সেটাকে প্রিন্ট করে নিবেন।
আপনি যদি মোবাইল ফোন দিয়ে কাজটি করে থাকেন তাহলে আপনি বর্তমানে পিডিএফ আকারে সেভ করে এরপরে কম্পিউটার দোকানে গিয়ে যেখানে প্রিন্ট করা হয় সেখানে তার মানে যে দোকানে করবেন তার ইমেইল এড্রেসে আপনি ফরম টি পাঠিয়ে দেবেন অর্থাৎ পিডিএফ ফাইল পাঠিয়ে দিবেন তারপরে সে তার প্রিন্ট মেশিন দিয়ে কিন্তু আপনাকে এটি প্রিন্ট করে দিতে পারবে।
যে দোকানে প্রিন্ট করে সেখানে যাবেন তাহলে তারা প্রিন্ট করে দিতে পারবে। আর আপনার নিজের যদি প্রিন্ট মেশিন থাকে তাহলে তো আপনি নিজেই করতে পারবেন কোন সমস্যা নেই।
আর একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি যদি আবেদন করার পরে 15 দিনের মধ্যে আবেদন না করেন তাহলে কিন্তু আপনার নতুন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য যে আবেদনটি করেছেন সেটি বাতিল হয়ে যাবে।
তাই অবশ্যই 15 দিনের মধ্যে আপনার নিবন্ধন কার্যালয় ফরম জমা দিয়ে আসবেন এবং সাথে যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার সেগুলো জমা দিয়ে আসবেন। নিবন্ধকের কার্যালয় গেলে তারা কিন্তু আপনাকে বলে দিবে যে কত টাকা ফি লাগবে এবং আপনাকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড কতদিন পরে দিবে তারা সেটা জানিয়ে দেবে আপনাকে।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের আজকের আর্টিকেলের এটাই মূল বিষয় ছিল যে নতুন জন্মনিবন্ধন আবেদন কিভাবে করবেন বা নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম 2022 সালে কিভাবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন, সেই বিষয়টা নিয়েই মূলত আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছিল। আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনেক ভাল লেগেছে।