সিম কার্ড কেন লক করবেন এবং সিম কার্ড লক করার নিয়ম

আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন

যে সিম কার্ড কেন লক করবেন বা সিম কার্ড লক করার নিয়ম। 

সিম কার্ড কেন লক করবেন
সিম কার্ড লক করার নিয়ম

সিম কার্ড লক করা কেন দরকার সেই বিষয় নিয়েই মূলত আমাদের আজকের এই লেখার ভিতর আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য শেয়ার করা হবে। 

 

সিম কার্ড কেন লক করবেন ?

 

মনে করেন আপনি রাস্তা দিয়ে হাটতেছেন আপনার মোবাইলে ফোনটি পকেটে রয়েছে আর সেই সময় কেউ যদি আপনার পকেট থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায় তখন কিন্তু একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে আপনার মোবাইলে থাকা সিমটি। কারণ যে ব্যক্তি আপনার মোবাইল ফোনটি চুরি করে নেবে সে যদি আপনার নাম্বারটি ব্যবহার করে কোন অপরাধমূলক কাজ করে বা কাউকে ব্ল্যাকমেইল করে তাহলে কিন্তু পুলিশ এসে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে।

 

তারপরে মোবাইলের সিমটি দিয়ে সে আপনার আত্মীয় স্বজনের যে নাম্বারগুলো রয়েছে সেই নাম্বারে ফোন দিয়ে বলতে পারে যে আপনি এক্সিডেন্ট করেছেন আর আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে এবং তাদেরকে টাকা পাঠাতে বলতে পারে। 


তারপরে আপনার  সিম নাম্বারটি দিয়ে যদি বিকাশ নগদ রকেট উপায় বা ব্যাংক একাউন্ট  খোলা থাকে তাহলে কিন্তু যে আপনার মোবাইল ফোনটি চুরি করে নেবে সে সহজে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট গুলো রিকভারি করে নিজের দখলে নিতে পারবে। আর তারপরে আপনার অ্যাকাউন্ট এর সব টাকা নিয়ে নিবে।

 

এরপরে আপনার মোবাইল ফোনের নাম্বারটি দিয়ে অর্থাৎ আপনার সিম নাম্বার দিয়ে যদি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট , হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো একাউন্ট , টুইটার, ইনস্টাগ্রাম।  অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ার যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট গুলো রয়েছে সেগুলো যদি খোলা থাকে মোবাইলের ভেতরে। তাহলে কিন্তু সে সহজেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো রিকভারি করে নিতে পারবে।

 

আর আপনার অ্যাকাউন্ট গুলোর মাধ্যমে কিন্তু সে অপরাধমূলক কাজ করতে পারে কিংবা মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে পারে আর যার ফলে দেখা যাবে পুলিশ এসে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে। এরপরে সে আপনার এই সকল তথ্যগুলো নিয়ে কিন্তু আপনাকে ব্ল্যাকমেল করতে পারে। তাই এই সকল সমস্যা থেকে যদি আপনি বাঁচতে চান তাহলে আপনি আপনার সিম কার্ড লক করে রাখতে পারেন। 

 

আপনি যদি আপনার মোবাইলের সিম কার্ড লক করে রাখেন তাহলে সে আপনার মোবাইল থেকে সিম কার্ডটি খোলার পরে যদি অন্য কোন  মোবাইল ফোনের মধ্যে সিমকার্ড  ঢুকিয়ে নেয় তারপরে ও কিন্তু সে কোন  এক্সেস পাবে না। যে ব্যক্তি আপনার মোবাইল ফোনটি চুরি করবে সে কিন্তু অবশ্যই সবার প্রথমে আপনার মোবাইল ফোন থেকে সিম থেকে বের করে ফেলবে। এরপরে সে যদি অন্য একটা মোবাইল ফোনে আপনার সিম কার্ডটি লাগাবে। কিন্তু আর আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে যদি সিম লক করে রাখেন তাহলে দেখা যাবে যে সে মোবাইলে সিমটি ওপেন করতে পারবেন না।

 

এক কথায় বলতে গেলে সে যদি মোবাইল ফোনে সিমটি চালাতে চায় তাহলে তার পিন নাম্বার টি জানতে হবে তাছাড়া সে পারবে না। প্রথমে 3 বার পিন দেওয়ার অপশন পাবেন প্রথম তিনটি অপশন দেওয়া ভুল করে তাহলে তার পরের বারে পাক কোড দেওয়ার জন্য বলবে আর সেটা যদি দশবার সে ভুল দেয় তাহলে দেখা যাবে যে সিমটি একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। 

Read More -  নতুন জন্মনিবন্ধন আবেদন 

আর যার ফলে কিন্তু আপনি উপরের যে সমস্যা গুলোর কথা বললাম এগুলো থেকে বেঁচে যাবেন, আপনার সিমটি যদি ওপেনিং করতে না পারে চাল যদি না করতে পারে তাহলে কিন্তু সে আপনার সিম ব্যবহার করে কোন খারাপ কাজ করতে পারবে না।

 

আশা করি যে আপনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন যে, সিম কার্ডটি আপনি কেন লক করে রাখবেন বা সিম কার্ড লক যদি রাখেন তাহলে আপনাদের কি কি উপকার পাবেন সেই বিষয় সম্পর্কে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই যে আপনি আপনার সিম কার্ডটি কিভাবে লক করে রাখবেন যাতে কেউ আপনার মোবাইল থেকে সিম কার্ড ঠিক হলে অন্য মোবাইলে  লাগালে ও যাতে ব্যবহার না করতে পারে। এখন সেই বিষয়টা নিয়েই  আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবো তাহলে চলুন জেনে নেই সকল তথ্য।

 

সিম কার্ড লক করার নিয়ম 

 

সবার প্রথমে আপনাকে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দিতে হবে। এরপরে মোবাইল ফোনের সেটিং অপশনে যেতে হবে অবশ্যই মোবাইল ফোনটি এন্ড্রয়েড ফোন হতে হবে। প্রথমে আপনি এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে কিভাবে করবেন সেই বিষয়টা বলে দিচ্ছি তারপরে আপনাকে বলে দিব যে কিভাবে আপনি আপনার বাটন মোবাইল ফোন থেকে সিম লক করতে পারবেন।


অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে সিম লক করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে মোবাইল ফোনের সেটিং অপশনে যেতে হবে তারপরে সার্চ অপশনে সার্চ করতে হবে sim lock এটা লিখে, এটা লেখার পরে আপনারা দেখতে পারবেন যে সিম লক করার জন্য অপশন এসেছে।  

 

তারপরে আপনারা সেখানে ক্লিক করবেন এরপর আপনাদের মোবাইল ফোনে যদি দুইটি সিম কার্ড থাকে তাহলে আপনারা সিম ওয়ান সিম টু নামে অপশন দেখতে পারবেন। আপনি যে সিম লক করতে চান সেটি সিলেক্ট করবেন তারপরে লগ সিমকার্ড নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন এবং সেটির উপরে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। 

 

তারপরে আপনাকে পিন নম্বরটি বসাতে হবে ডিফল্ট ভাবে সকল সিমের 1234 এই নাম্বারটি সেভ করে থাকে আপনি 1234 দিলেই আশা করি হয়ে যাবে। আর যদি না হয় তাহলে আপনি সিম কেনার সময় যে একটি কার্ড দিয়ে ছিল। অর্থাৎ যেটার ভিতর সিম কার্ড ছিল সেটার মধ্যে দেখতে পারবেন, পিন নাম্বার এবং পাক কোড নাম্বার লেখা রয়েছে সেখান থেকে দেখে টাইপ করে বসিয়ে দিবেন। 

 

 

আর পিন নাম্বারটি বসিয়ে সেভ বাটনে ক্লিক করলেই আপনাদের সিম ব্লক হয়ে যাবে। তারপরে কেউ ইচ্ছা করলে ও আপনার সিমটি আর ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ সে যদি আপনার মোবাইল থেকে বের করে অন্য মোবাইল ব্যবহার করতে চায়, তাহলে অবশ্যই তাকে পিন নাম্বার টি জানতে হবে পিন নাম্বার ছাড়া কিন্তু সে কখনোই আপনার সিমটিকে ব্যবহার করতে পারবে না।

 

আর  ডিফল্ট ভাবে  যে নাম্বারটি দেওয়া রয়েছে 1234 এই নাম্বারটি যদি আপনারা চেঞ্জ করতে চান তাহলে নিচে লেখা দেখতে পারবেন চেঞ্জ সিম কার্ড পিন এরকম একটা লেখা দেখতে পারবেন সেই লেখাটির উপরে ক্লিক করবেন। তারপর আপনি বর্তমানে যে পিন নাম্বারটি দিয়েছেন সেই নাম্বারটি প্রথমে বসাবেন, এরপরে নতুন একটি পিন কোড দেওয়ার অপশন পাবেন অর্থাৎ আপনার যে পিন নাম্বারটি সেভ করতে চাচ্ছেন তার পরের নেক্সট অপশনে ক্লিক করার পরে আপনাকে আবার ও সেই পিন নাম্বারটি বসাতে হবে। অর্থাৎ নতুন পিন নাম্বারটি দিবেন সেই পিন নাম্বারটি আপনাকে দুইবার টাইপ করে বসিয়ে এরপরে নেক্সট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার সিমটি লক করা হয়ে যাবে।

 

আর আপনি যখন পিন নাম্বারটি চেঞ্জ করলে তখন সেই নাম্বারটি কোন কিছুর ভিতর লিখে রাখতে পারেন। কোন ডায়েরির মধ্যে লিখে রাখতে পারেন যাতে করে আপনি ভুলে গেলেও সেটা ডায়েরির মধ্যে থেকে দেখে নিতে পারেন। আর আপনার মোবাইলে যদি কোনো সময় চুরি হয়ে যায়। তারপরে যখন নতুন  মোবাইলে নাম্বারটি বসানো হবে তারপরে কিন্তু  তিনবার পিন কোড ভুল দিলে বাক্যটা অপশন আসবে তারপরে সেটা যদি সে দশবার ভুল দেয় তাহলে সিমটা অটোমেটিক ব্লক হয়ে যাবে।

 

 

আর তারপরে  সিমটি দিয়ে কিন্তু সে কিছুই করতে পারবে না কিন্তু আপনি চাইলেই কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে আপনার সিমটি উঠিয়ে নিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার সিমটি যদি ব্লক হয়ে যায় তাহলে আপনার চিন্তা করার কোনো কারণ নেই কারণ আপনি যদি আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে সিম টি কিনে থাকেন বা যার এনআইডি কার্ড দিয়ে কিনেছেন হতে পারে আপনার মা, বাবা, ভাই বোন তাদের কার ও যদি এনআইডি কার্ড দিয়ে  কিনে থাকেন সিমটি তাহলে তাদেরকে সাথে করে নিয়ে গেলেই আপনি সিমটি কাস্টমার কেয়ারের অফিস টাইমে  গেলেই সিমটিকে আনতে পারবেন।

 

এখন কথা হল আপনি বাটন মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে করবেন বাটন ফোন দিয়ে আপনি যেভাবে করবেন তা হলো, সবার প্রথমে আপনাকে বাটন মোবাইল ফোনের সেটিং অপশনে যেতে হবে। তারপরে আপনি সিকিউরিটি নামের অপশন দেখতে পাবেন সেখান থেকে আপনাকে সিকিউরিটি অপশনে যেতে হবে সিকিউরিটি অপশনে যাওয়ার পরে আপনারা সবার উপরে দেখতে পারবেন পিন নামে একটি লেখা রয়েছে সেটির নাম এই লেখাটির উপরে ক্লিক করবেন।

 

পিন লেখাটির উপরে ক্লিক করার পরে  আপনারা কোন সিমটি লক করতে চান সেই সিম টি সিলেক্ট করতে হবেআপনার মোবাইল ফোনে যদি দুইটি সিম থাকে তাহলে আপনি কোন সিম ব্লক করতে চান এক নাম্বার সিম না 2 নাম্বার সিম সিলেক্ট করে দিবেন তারপরে ওকে বাটনে ক্লিক করবেন। 

 

এরপরে আপনারা দেখতে পারবেন যে পিন অফ করার নামে একটি অপশন লেখা আছে সেখানে আপনাদেরকে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আপনারা যখন সিম কিনেছিলেন তখন যে সিম এর ভিতরে পিন কোড এবং পাক কোড বসিয়ে দেওয়া ছিল  সেখান থেকে পিন নাম্বারটি দেখে টাইপ করে বসিয়ে দিবেন। অবশ্য বেশিরভাগ ১২৩৪ নাম্বারটি সেভ করে থাকে, আপনি ১২৩৪ দিয়ে চেক করতে পারেন , যদি হয়ে যায় তাহলে সিমের কার্ড দিয়ে চেক করা দরকার নেই 1234 দেওয়ার পরে ওকে বাটনে ক্লিক করবেন।

 

তাহলে আপনাদের সিম লক হয়ে যাবে এরপরে আপনি যদি পিন নাম্বারটি মডিফাই করতে চান। অর্থাৎ চেঞ্জ করতে চাই তাহলে আপনি নিজে দেখতে পারবেন মডিফাই বিন নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে একবার ক্লিক করবেন তারপরে বর্তমানে যে পিন নাম্বারটি রয়েছে সেটি দিবেন তারপরে নতুন যে পিন নাম্বার দিতে চান সেটি বসিয়ে দিবেন। এরপরে নেক্সট বাটনে ক্লিক করার পরে আবার নতুন পিন নাম্বারটি দিবেন।

 

অর্থাৎ এর আগে যে পিন নাম্বারটা দিয়েছিলেন সেটাকে দিতে হবে মানে নতুন পিন নাম্বারটি সেভ করবেন সেটা আপনাকে দিতে হবে। তারপর সেভ বাটনে ক্লিক করলেই আপনাদের পিন নাম্বারটি সেভ হয়ে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে বাটন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিভাবে সিম কার্ড লক করার জন্য পিন নাম্বার সেভ করবেন পিন নাম্বারটি চেঞ্জ করবেন কিভাবে সেই সম্পর্কে  সকল কিছু। 

 

আমাদের শেষ কথা  

তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা সিম কার্ড কেন লক করবেন সিম কার্ড লক করলে কি কি উপকারিতা পাবেন বা সিম কার্ড লক করার নিয়ম সেই সম্পর্কে জানতে পারলেন। 


তারপরে সিম কার্ড কিভাবে লক করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে পারলেন। আর এই রকমের বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post